দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেট আইকনের আ.লীগের মতো স্বৈরাচারী দলে যাওয়া ঠিক হয়নি : প্রেস সচিব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি আদায়ে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল করলো পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশুর মৃত্যু ১২ দলীয় জোট আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্কার প্রস্তাবের ২৫টির সঙ্গে একমত ও ২৫টিতে আংশিক মত দিয়েছি আমরা : সালাহউদ্দিন আহমেদ আমরা নির্বাচনের দাবি করতে পারি, দিনক্ষণ ঠিক করে দিতে পারি না : জামায়াত আমির সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে : রিজভী নতুন দল নিবন্ধনের জন্য ৩ মাস বাড়াতে ইসিতে আবেদন করলো এনসিপি
নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে : বিএনপি

নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে : বিএনপি

৮ জুলাই ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, জনগণের সকল আশা-আকাঙ্খাকে পদদলিত করে করে একটি ফ্যাসিবাদি স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের এই ভয়াবহ প্রক্রিয়া থেকে সরে এসে জনগণের নির্বাচিত পার্লামেন্ট ও সরকার গঠনের লক্ষ্যে অবিলম্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যে বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করছে অত্যন্ত সুচতুরভাবে। খায়রুল হকের রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থার পূণ:প্রবর্তন- একে একে সংবিধানের গণতান্ত্রিক বিধানগুলোকে বাদ দিয়ে সংশোধনী এনে একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার মারাত্মক প্রক্রিয়া তারা সম্পন্ন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এমনকি বিচার ব্যবস্থাকে আজ সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। ফলে জনগণের যে নূন্যতম আস্থা সেই বিচার বিভাগের নিকট মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত রায়ে পরিস্কারভাবে বলেছেন যে, বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের শিকার হয়েছে এবং জনগণ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিম্ম আদালতে আইন মন্ত্রণালয়ের নিরঙ্কুশ প্রভাব নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ন্যায় বিচার তিরোহিত হচ্ছে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিলুপ্ত হচ্ছে। উচ্চ আদালতেও এর প্রভাব আমরা দুঃখজনকভাবে দেখতে পাচ্ছি। বিচারপতি সিনহাকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে অপসারণ-দেশত্যাগে বাধ্য করার ফলে ভীতি সর্বগ্রাসী হয়েছে এবং দলীয় ব্যক্তিদের নিয়োগের কারণে পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটেছে। দেশনেত্রীর মামলায় এই বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

পাবনার ইশ্বরদীতে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের শাস্তি প্রদানের আদেশ সমগ্র জাতিকে বিস্মিত, হতাশ ও ক্ষুদ্ধ করেছে। আমরা যেকোন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, আমরা সবসময়ই সন্ত্রাসের ঘটনায় নিন্দা করেছি, প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং সুষ্ঠু বিচার চেয়েছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ঘটনাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, ইশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে সংঘটিত এই হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। এ রায়ে মধ্যদিয়ে বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে তা ফুটে উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের প্রায় সকল কর্মকর্তাকে এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তিন বৎসর পর অভিযোগপত্র দিয়ে ২৫ বছর পর এই আদেশ প্রমাণ করেছে যে, এই আদেশ ন্যায়বিচার পরিপন্থি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শুধুমাত্র ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার জন্য একের পর এক গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে, বিরোধী রাজনীতিকে ধ্বংস করে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসিত করবার আয়োজন সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের আশ্রয়ের শেষস্থল বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। যেহেতু বর্তমান পার্লামেন্ট জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়নি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে নির্বাচনের ফলাফল জবরদস্তি নিজেদের পক্ষে নিয়েছে, সেই কারণে জনগণের কাছে কোন প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতার কোন সুযোগ নেই। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে। বিচার বিভাগও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমি শুধু এইটুকু বলি, এখানে কারোই মৃত্যু ঘটেনি, সেখানে মৃতুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ধরনের রায়ের ঘটনা আমার জীবনে শুনেনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এভোকেট জয়নাল আবদীন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল প্রমুখ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT